নিজস্ব প্রতিবেদক \
জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নাজমুল হক বাবুর অপসারণের দাবিতে ১২ জন ইউপি সদস্য একযোগে অনাস্থাপত্র দাখিল করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয়। ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ চৌধুরীর ইন্ধনে তিনি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব গড়েছিলেন। নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অপকর্মসহ নিজের বাহিনীর কাছে এলাকাবাসী জিম্মি ছিলেন। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর মাঝে মাঝে চেয়ারম্যান পরিষদে গেলেও বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ ও পলাতক চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানিয়ে ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ১২ সদস্যের মধ্যে ১১ জন সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। অনাস্থাপত্রে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু একজন স্বেচ্ছাচারী ও বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি পরিষদের সদস্যদের মতামত না নিয়ে সবকিছু এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন চালিয়ে আসছে। গ্রেপ্তার ও জনরোষের ভয়ে তিনি পলাতক রয়েছেন, ফলে ইউপি সদস্যরা তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, “চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ইউপি সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করছি। দাপ্তরিকভাবে কর্তৃপক্ষ এখনও প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেননি। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পলাতক চেয়ারম্যানের অপসারণ ও প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।” চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবুর বক্তব্য জানার চেষ্টা করলেও তিনি পলাতক থাকায় তা সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনে কল করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জামালপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ কবির উদ্দীন বলেন, “অনাস্থাপত্রটি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন