সুলতান আহমেদ ময়না, শেরপুর প্রতিনিধি \
শেরপুর জেলায় শ্রীবরদী উপজেলায় এক স্বামীর বিরুদ্ধে তারই অসুস্থ প্যারালাইসিস জীবিত স্ত্রীকে মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই নারী অসুস্থ হওয়ায় এমনটি করেছে ওই স্বামী। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত।
গত ৮ আগস্ট শুক্রবার সকালে উপজেলার কাকিলা কুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম খলিলুর রহমান। আর ভুক্তভোগী নারীর নাম খোরশেদা বেগম (৬০)। এ দম্পতির ঘরে চারটি সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, স্ত্রীকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শ্রীবরদী সদর থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ জানান, গত শুক্রবার সকালে কৃষক খলিলুর তার অসুস্থ স্ত্রীকে ঘর থেকে টেনে বাড়ির উঠানে নিয়ে আসেন। সেখানে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে গর্ত করে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলেই যায় পুলিশ। তবে, ওই সময় তারা অভিযুক্তকে পায়নি। ওসি আরো বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, খলিলুরের এক ছেলে বিদেশে থাকে এবং তার তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। সন্তানেরা এ বাবা-মায়ের খোঁজ-খবর রাখেন না। একদিকে সংসারে আর্থিক টানাপোড়ন, অন্যদিকে স্ত্রী ছয় বছর ধরে শয্যাশায়ী। দীর্ঘদিন অসুস্থ স্ত্রীকে সেবা করতে করতে খলিলুর মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। এর জেরেই তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জীবন্ত মানুষকে মাটি দেওয়ার বিষয়টি অমানবিক এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। জানা যায় স্বামী অসুস্থ প্যারালাইসিস স্ত্রীর জন্য কমট চেয়ার কিনে নিয়ে আসে আর সেই চেয়ার বসানোর জন্য মল ট্যাগ করার জায়গা গর্ত করতে ছিলেন এর মধ্যেই তার স্ত্রী প্রসাব পায়খানা করে ফেললে তার স্বামীকে জোরে জোরে ডাকতে থাকে এক পর্যায়ে তার স্বামী রাগ করে তার স্ত্রীকে গালমন্দ করতে থাকে এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে এসে ওই সামান্য গর্তে রেখে মা মাটি উপরের দিকে থাকে যে সামান্য গর্ত ছিল সেখানে কবর দেয়ার মত কোন গর্ত নয় রাগান্বিত ও খুব দুঃখে এই মর্মান্তিক কাজ করে ফেলেন বলে জানা যায়।ভিডিওটি তার মেয়ের ঘরের নাতিনে করেছে বলে জানা যায়।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন