নিজস্ব প্রতিবেদক \
উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে রবিউল ইসলাম ও আবু হানিফদের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে কামরুল ও মাহফুজ বাহিনীর অতর্কিত হামলায় মেলান্দহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধির স্ত্রী লাজুক মনি ও শাশুড়ী রেহানা পারভীন ও শ্যালক লাভলু গুরুতর আহত অবস্থায় মেলান্দহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত রবিউল ইসলামের পরিবারের সাথে কামরুল ইসলাম ও মাফুজ গংদের ভুমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ইতিপূর্বেও রবিউল ইসলামের পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করার অভিযোগ থাকলেও এলাকাবাসী বিষয়টি নিষ্পত্তিকল্পে বড় ধরনের কু মতলব হাসিল করতে পারেনি বিবাদী কামরুল ইসলাম ও মাহফুজগংরা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কামরুল ৫ ই আগস্টের পরে সে নিজে সেনা সদস্য হওয়ায় দামবিকতার সুরে তার লোকজনদের হুকুম দেয় এখন আর বসে থাকার সময় নেই জমি পাইলেও দিতে হবে না পাইলেও দিতে হবে। এমন হুমকিতে ভীত হয়ে পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে রবিউল ইসলাম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিতে অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ১২জুন আনুমানিক বেলা ১১টায় উভয় পক্ষ কে সালিশ বৈঠকের বসার আহ্বান করলে, উভয় পক্ষই বৈঠকে সমবেত হয়। এমন সময় সালিশির একপর্যায়ে বিবাদি কামরুল ইসলাম হুকুম দেয় ‘এদেরকে ধর’ বলা মাত্রই মাহফুজ, আফজাল, মোমিন, কামরুল, মোখলেছ, পলাশ, মাসুম ও জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র যেমন : লোহার রড, বাশের লাঠি ও কোবা দা হাতে নিয়ে রবিউল ইসলাম দের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে রবিউল ইসলাম সরে গেলে মোঃ লাভলুকে একা পেয়ে বেধরক আঘাত করতে থাকে, পুত্রের আত্ম চিৎকারে তার মা রেহনা পারভীন ও বোন লাজুক মনি এগিয়ে আসলে তাদের দুজনকেও এলোপাথাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত যখন করে গুরুতর আহত করে। ঘটনা বেগতিক দেখে বৈঠকে আসা লোকজন এগিয়ে গেলে কামরুল ও মাহফুজ বাহিনী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং হুমকি দেয় যে সালাদের সব কয়টাকে সুযোগ পাইলে প্রানে শেষ করে দিব। এ ব্যাপারে রবিউল ইসলামের মেয়ে জামাতা রমজান আলী ঘটনার পর মুহুর্তে সংবাদ পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। পরদিন গত ১৩ জুন রবিউল ইসলাম এর মেয়ে জামাতা সাংবাদিক রমজান আলী বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর -১২। ঘটনার পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ মাহফুজ নামে বিবাদী কে মেলান্দহ হাসপাতালে দুপুর ২.১০ মিনিটের সময় ভর্তি রেজিস্টার খাতায় এন্ট্রি করে, যাহা কোন প্রকার বড় আঘাত বা কাটা ছেড়া নেই। সাংবাদিক পরিবারকে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য আনুমানিক বেলা চারটার সময় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে মাহফুজকে নিয়ে গিয়ে পুনরায় মাথা কেটে পুনরায় ভর্তি করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ছয়জনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন