শেরপুরের শ্রীবরদীতে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৩৮০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে পৌর শহরের সাতানী মথুরাদী এলাকার রুহুল রাইস মিল থেকে এসব চাল জব্দ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবেরের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিব-উল-আহসান। অভিযানে মিলের গোডাউনে মজুত সরকারি চাল উদ্ধার করে সেটি সিলগালা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে ট্রলিযোগে সরকারি চাল মিলের গুদামে মজুত করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ট্রলি আটক করে প্রশাসনকে জানায়। পরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উঠেছে প্রশ্ন — “গরীবদের জন্য বরাদ্দ সরকারি চাল কীভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন রাইস মিলে এল?”
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু সাইদ ও আবু তালেব মিলটি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন বলে জানা গেছে। তারা দাবি করেন, মানিক নামের এক ব্যক্তি এক দিনের জন্য চালগুলো মিলে রেখেছিলেন। কিন্তু মানিক মিয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “এই চাল আমার নয়, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।”
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সুচিত্রা রানী পণ্ডিত বলেন, “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসে ডিলারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। অক্টোবর মাসে এখনো কোনো চাল বিতরণ হয়নি।”
এ বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, “জব্দকৃত চালগুলো সরকারি। কীভাবে ও কারা এগুলো এখানে এনেছে, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
জব্দ করা চালগুলো আপাতত স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহজাহান কবিরের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
সরকারের অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে, যা কঠোর তদন্তের দাবি রাখে।


সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন