মোঃ সাইদুর রহমান সাদী ।।
জামালপুর সদর উপজেলার ১৩নং মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ী গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে ২০২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি: পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো (AWD) পদ্ধতির ফলাফল প্রদর্শন মাঠ দিবস।
কৃষানী জুলেখা বেগমের বাড়িতে দিনব্যাপী এই আয়োজনটি
অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়ান এনজিও কো-অপারেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (GESMIN) প্রকল্পের আওতায় ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি :পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো(AWD) পদ্ধতির ফলাফল প্রদর্শন মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবসের কার্যক্রম পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু করেন মো: মমিন খান। সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি মার্কেট এজেন্ট মো: নূরুল ইসলাম, যিনি সভার শুরুতেই সকলকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ এমদাদুল হক, উপজেলা কৃষি অফিসার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা হিরা, খালেক মিয়া ও সানজিদা সুচি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন Business Development Officer (BDO) গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কেন্দুয়া, মেষ্টা ও রশিদপুর ইউনিয়নের কমিউনিটি মার্কেট এজেন্ট, নারী উদ্যোক্তা ও উৎপাদক দলের সদস্যবৃন্দ।
সভায় গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা AWD পদ্ধতির গুরুত্ব, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কাজ ও ডোনার সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
একইসাথে মেষ্টা ইউনিয়নের কমিউনিটি ফেসিলিটেটর হুমায়ুন কবির প্রকল্পের ৫টি জিরো লক্ষ্য (জিরো-ক্ষুধা, বাল্য বিবাহ, অপুষ্টি, শিশু শ্রম ও পলিথিন ব্যবহার), সেইফগার্ড পলিসি ও দুর্নীতি বিরোধী বার্তা উপস্থাপন করেন।
AWD পদ্ধতির উপকারিতা তুলে ধরে গোলাম মোস্তফা হিরা জানান, এই পদ্ধতি চারা থেকে কুশি বৃদ্ধিতে সহায়ক, ফলে ৫-১০% ফলন বাড়ে, সেচের পরিমাণ কমে এবং উৎপাদন খরচ হ্রাস পায়।
প্রধান অতিথি এমদাদুল হক বলেন, “AWD একটি কার্যকর ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি। এটি গ্রহণ করায় আমি কৃষকদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, ভবিষ্যতে এর বিস্তার ঘটবে এবং উৎপাদন খরচ কমে আসবে।”
কৃষানী জুলেখা বেগম তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, AWD পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ কমে তিনি ভালো ফলন পেয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও এ পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
অনুষ্ঠানে অনুভূতি শেয়ার করেন সিএমএ রোজিনা খাতুন ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেন। বিল্লাল হোসেন বলেন, “AWD পদ্ধতির ব্যবহার ও উপকারিতা জেনে আমি আনন্দিত। আমি নিজেও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করবো এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করবো।”
আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন সুবর্ণা আক্তার, ঈশিতা আক্তার, রোজিনা আক্তার, বিলকিছ আক্তার, তৃপ্তি খাতুন ও নীলা আক্তার, যারা জেসমিন প্রকল্পের কমিউনিটি ফেসিলিটেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন মাসুদ রানা, কমিউনিটি ফেসিলিটেটর, কেন্দুয়া,জেসমিন প্রকল্প, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
সভাপতি নূরুল ইসলাম উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং পরবর্তী মৌসুমে সবাইকে AWD পদ্ধতি প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন