তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে “মাটি, পানি, বায়ু ও শব্দদূষণ, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব” বিষয়ে এক জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর ২০২৫) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর, শেরপুর ও জেলা প্রশাসন, শেরপুরের যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার উপপরিচালক আরিফা সিদ্দিকা, শেরপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মাইদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা আদালতের বিজ্ঞ জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব আলম রকিব, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আশরাফুন্নাহার রুবী, শেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ পলাশ, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংঙ্কা শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি কাকন রেজা, জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফখরুদ্দিন রাজি এবং এনসিপি শেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়া প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাকিল আহমেদ।
সভায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিল্প প্রতিষ্ঠান, পরিবেশবান্ধব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর শেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম বলেন— মাটি, পানি, বায়ু, শব্দদূষণ, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করাই এ সভার মূল উদ্দেশ্য।
সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের জীবন ও পরিবেশ পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। কিন্তু দ্রুত নগরায়ণ, শিল্পায়ন, বন উজাড়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থা এবং পরিবেশ সম্পর্কে অজ্ঞতা বা উদাসীনতার কারণে মাটি, পানি ও বায়ু ভয়াবহভাবে দূষিত হচ্ছে। শব্দদূষণও মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নদী-নালা, কৃষিজমি ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এসব দূষণের ফলে শুধু প্রকৃতি নয়, মানবস্বাস্থ্য ও খাদ্যনিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ একক কারও পক্ষে সম্ভব নয়— এটি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। সরকারের গৃহীত আইন, নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিল্পমালিক ও সাধারণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
সভায় জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন নিশ্চিত করলে একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই শেরপুর গড়ে তোলা সম্ভব।”

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন