বকশীগঞ্জে এইচএসসি ফল বিপর্যয় — চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেউ পাস করেনি

মোঃ সাইদুর রহমান সাদী
0
রাশেদুল ইসলাম রনি।।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাসের তুলনায় অনেক বেশি। এর মধ্যে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭০৯ জন। এর মধ্যে ২৩০ জন পাস এবং ৪৭৯ জন ফেল করেছে। কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন শিক্ষার্থী। খাতিমুন মঈন মহিলা ডিগ্রী কলেজে মোট ২৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৯ জন পাস ও ১৮৬ জন ফেল করেছে। সেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী।নিলাক্ষিয়া পাবলিক কলেজে ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫ জন পাস এবং ৩৬ জন ফেল করেছে।অন্যদিকে আলহাজ্ব আমানুজ্জামান মডার্ন কলেজে ২৯৬ জনের মধ্যে ১২৫ জন পাস ও ১৭১ জন ফেল করেছে।চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও সবাই ফেল করেছে, অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
রাহেলা কাদির স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩ জনের মধ্যে ১ জন পাস ও ২ জন ফেল করেছে।স্থানীয় শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ঘাটতি, নিয়মিত পাঠদানে অনীহা এবং যথাযথ তদারকির অভাবেই এ বছর ফলাফল আশানুরূপ হয়নি।
তারা মনে করেন, পাঠদান পদ্ধতি শক্তিশালী করা এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে এ পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ জহুরুল হোসেন বলেন,“খুবই হতাশাজনক—একটি কলেজে কেউ পাস করেনি। কিভাবে পাঠদান করা হয়, তা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো এবং এত অবনতি কেন হল, কোন জায়গায় সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিব।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)