শেরপুরে জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, শেরপুর ক্যাম্প কমান্ডার মেজর তারেক আজিজ, ৩৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক ক্যাপ্টেন মিজানুর রহমান মিজান, এনএসআই-এর উপপরিচালক, জেলা নির্বাচন কমিশনারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
এছাড়াও সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং সুধীজন অংশগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সদর আসনের এমপি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সদর আসনের বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত এমপি প্রার্থী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, এনসিপি শেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক ও শেরপুর সদর আসনের এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লিখন মিয়া, শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতা আলহাজ্ব মোঃ আওয়াল চৌধুরী এবং শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত কুমার দে।
সভায় জেলার সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত আচরণবিধি ও আইনগত নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য, বেআইনি প্রচারণা কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার জন্য রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল, বিবাহ অনুষ্ঠান, কীর্তনসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে পরিচালিত হয়, যার ফলে পুরো এলাকাজুড়ে শব্দ ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান নির্দিষ্ট স্থানে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখলে তা সবার জন্যই গ্রহণযোগ্য হয়। কিন্তু অতিরিক্ত মাইক ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে, অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষসহ সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েন এবং জনজীবনে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়।
জেলা প্রশাসক শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে সকল অনুষ্ঠান পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর থাকার আহ্বান জানান। জনস্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি সকল নাগরিকের সচেতন সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভা শেষে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও সুসংহত রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন