মন্তব্য কলাম - চতুর্থ রোজা: আত্মসংযম ও নৈতিকতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সময়

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

\ মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল \

রমজানের চতুর্থ দিন এসে রোজাদারদের সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুশীলন আরও সুদৃঢ় হতে থাকে। প্রথম তিনদিনের অভ্যাস গড়ে ওঠার পর, এখন রোজা শুধু শারীরিক ইবাদত নয়, বরং মানসিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধির এক নতুন ধাপে পৌঁছে যায়। এই সময় থেকেই একজন মুসলমান তার ধৈর্য, সহনশীলতা ও নৈতিকতার পরীক্ষার মুখোমুখি হন, যা তাকে প্রকৃত তাকওয়ার পথে পরিচালিত করে। রমজান মাসের অন্যতম প্রধান শিক্ষা হলো আত্মসংযম—কেবল খাদ্য ও পানীয় থেকে নয়, বরং সকল খারাপ কাজ, মন্দ চিন্তা এবং অন্যায়ের প্রলোভন থেকেও। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “রোজা ঢালস্বরূপ, যতক্ষণ না কেউ এটিকে ভেঙে ফেলে।” (সহিহ বুখারি)। অর্থাৎ, রোজা শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক উপবাস নয়; বরং এটি মন্দ কাজ থেকে আত্মরক্ষার ঢালস্বরূপ, যা আমাদের চারিত্রিক উন্নতি ঘটায়। চতুর্থ রোজা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চর্চা যেন শুধু রমজান মাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং সারাবছর আমাদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। এই সংযম আমাদের ধৈর্যশীল করে তোলে এবং অন্যের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হতে শেখায়। আল্লাহ বলেন, “যারা নিজেদের প্রবৃত্তিকে সংযত রাখে, জান্নাত তাদের জন্য নির্ধারিত।” (সূরা নাজিআ’ত: ৪০-৪১)। তাই, এই মাসে আমরা যদি প্রকৃত সংযম অর্জন করতে পারি, তবে তা আমাদের জান্নাতের পথ প্রশস্ত করবে।

চতুর্থ রোজা হলো আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নৈতিকতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। এটি আমাদের শেখায় কেবল বাহ্যিকভাবে নয়, বরং মন ও মস্তিষ্ককেও শুদ্ধ রাখা জরুরি। রমজানের শিক্ষাকে জীবনে কাজে লাগিয়ে যদি আমরা আত্মসংযম ও তাকওয়ার গুণ অর্জন করতে পারি, তবে আমরা শুধু একজন উত্তম রোজাদারই হবো না, বরং একজন উন্নত মানুষ হিসেবেও গড়ে উঠতে পারবো।

লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন, জামালপুর।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)