শেরপুর থেকে সুলতান আহমেদ ময়না \
২০ মে শেরপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তাদের আয়োজনে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগিতায় ছিলেন সিআইপিআরবি ও ইউএনএফপিএ। “ফিস্টুলায় আক্রান্ত নারীর স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করি, প্রসবজনিত ফিস্টুলা মুক্ত দেশ গড়ি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহীন। তিনি বলেন, “প্রসবজনিত ফিস্টুলা নারীর জন্য একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ফিস্টুলামুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে এবং এই লক্ষ্যে সরকারিভাবে ‘ফিস্টুলা নির্মূল কার্যক্রম ২০৩০’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।” আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু দাম, জেলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস সাথী, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোবারক হোসেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আহসান উল হাবিব, ইউএনএফপিএ’র কো-অর্ডিনেটর ডা. সপ্তর্ষি সাহা শামা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিআইপিআরবি’র জেলা কো-অর্ডিনেটর শারমিনা পারভীন ও সুমন দাস। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ নারী ফিস্টুলা রোগে ভুগছেন। বাংলাদেশে এই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার, প্রতি বছর যোগ হয় আরও ২ হাজার নতুন রোগী। রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধ, কম বয়সে গর্ভধারণ নিরুৎসাহিতকরণ এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। সিআইপিআরবি’র জেলা কো-অর্ডিনেটর শারমিনা পারভীন জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলাকে ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে। চলতি বছরে জেলায় ৮ জন ফিস্টুলা রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৫ জন উন্নত চিকিৎসা পেয়েছেন এবং ২ জনকে জাতীয় ফিস্টুলা সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ শেরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন