শেরপুরে শনিবার গভীর রাতে একটি গোপন মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা শেখ হাসিনার বিচার রায় ঘোষণার প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগের শাটডাউনের প্রতি সমর্থন জানাতে আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিলটি শহরের নির্জন স্থানে অনুষ্ঠিত হলেও, তা দ্রুত শহরের বিভিন্ন মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সভাপতি, আতিউর রহমান আতিকের ছবি প্যানা করে কয়েকজন বিচ্ছিন্ন কর্মী মশাল মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি সম্পূর্ণ গোপনীয়তায় আয়োজন করা হয়, যাতে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি এড়ানো যায়। এতে অংশগ্রহণকারীরা খুব দ্রুত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে এবং নির্দিষ্ট সময়ে এলাকা ত্যাগ করেন।
এই গোপন মশাল মিছিল নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একদল স্থানীয় জনতা এটিকে রাজনৈতিক প্রতিবাদের শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেখছেন, তবে অন্যদের মতে, এর গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে, দলের সাধারণ সমর্থকরা জানিয়েছেন যে, তাদেরকে বিপদে ফেলে এমন গোপনে মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে। একাধিক সমর্থক বলছেন, "নেত্রী আমাদের ফেলে চলে গেছেন, তাদের সঙ্গে আমরা আর নেই।"
এদিকে, গোপন মশাল মিছিলের ঘটনায় শহরের মধ্যে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, এমন কর্মসূচি দীর্ঘদিন পর দেখা গেল এবং এটি নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিছু জনগণ মনে করছেন, এ ধরনের গোপনীয় কার্যক্রম দলের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থকরাও সাবধানে চলাচল করছেন।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবে পুর্বের নাশকতা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মশাল মিছিল ঘিরে জেলা জুড়ে আলোচনা চলছেই।


সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন