শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেতরে কোনো ধরনের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই ২১টি দেবদারু গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
রোববার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসব গাছ কাটা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, “এসব গাছ কাঠজাতীয় নয়, এগুলো ছিল সৌন্দর্যবর্ধনকারী ছোট অলংকরণ গাছ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা অনিচ্ছাকৃতভাবে এগুলো কেটে ফেলেছে।” তিনি আরও বলেন, জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের অনুষ্ঠান শেষে পুনরায় সেখানে গাছ লাগানো হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে কার্যালয় চত্বরে প্যান্ডেল স্থাপন করা হবে। প্যান্ডেলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় গাছগুলো অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি বন বিভাগের নজরে আনলে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির জানান, “ঘটনাটি সম্পর্কে আমার কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি যাচাই না করে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।”
সরকারি গাছ কাটার মতো সংবেদনশীল ঘটনার ক্ষেত্রে অনুমতি ও নিয়মকানুন মানা বাধ্যতামূলক। তাই এ ঘটনা নিয়ে এখন প্রশাসনিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন স্থানীয়দের একটি অংশ।

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন