শেরপুর জেলার আলোচিত কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ফেরারির তালিকাভুক্ত বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুমকে শেরপুর শহরের বটতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)। এর আগে এ মামলার অপর অভিযুক্ত ফজলুর রহমানকে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
মুল ঘটনা , গত ৫ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে তাকে কৃষি প্রণোদনার তালিকা নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন রাহাত কাইয়ুম। নির্দিষ্ট কয়েকজনকে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য তিনি জোরাজুরি করলে কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টি বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমানকে ফোনে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাহাত কাইয়ুম কর্মকর্তার গালে থাপ্পর মারেন এবং বাইরে থাকা সহযোগী ফজলুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তাকে অফিস থেকে টেনে বাইরে এনে মারধর করেন। পরে আশপাশের লোকজন কৃষি কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার পর কৃষি কর্মকর্তা নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ একটি নিয়মিত মামলা রুজু করে। এরপর থেকেই রাহাত কাইয়ুম ও ফজলু আত্মগোপনে ছিলেন।
মামলার পরদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল রাহাত কাইয়ুমকে দলীয় সব পদ ও সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে। গত ১২ নভেম্বর নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নকলা থানা ও শেরপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকার আদাবর থেকে ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিনে শেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সফল অভিযানে শেরপুর শহরের বটতলা এলাকা থেকে রাহাত কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে আটক রয়েছেন।

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন