ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে শেরপুর-১ (সদর) আসনে সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে রাত্রি অবধি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নির্বাচন বানচালের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে প্রার্থীরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।
শেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মিজ্ মাহবুবা হক, উপস্থিত ছিলেন শেরপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশতিয়াক মজনুন ইশতি, নির্বাচন কমিশনার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।
মতবিনিময় সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবিরীন প্রিয়াঙ্কা বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। সব দলের জন্য সমান সুযোগ ও নিরপেক্ষ প্রশাসন থাকলেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।”
জামায়াতে ইসলামি মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে প্রস্তুত।”
এনসিপির আহ্বায়ক ও প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লিখন মিয়া বলেন, “ভোটের মাধ্যমেই জনগণের মতামতের প্রতিফলন হওয়া উচিত। সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। প্রয়োজনে সব দল একসঙ্গে থেকে নির্বাচন সুরক্ষিত করব।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ পলাশ, জেলা জামায়াতে ইসলামির আমির, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা সবাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও আচরণবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভায় ইউএনও মিজ্ মাহবুবা হক বলেন, “নির্বাচনকে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুত। আচরণবিধি লঙ্ঘন বা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
ওসি সোহেল রানা বলেন, “নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।”
সভা শেষে প্রার্থীরা যৌথভাবে ঘোষণা দেন—তারা নির্বাচন কমিশনের সকল বিধিমালা মেনে চলবেন এবং নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন।

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন