মন্তব্য কলাম : আর একটি প্রাণও যেন না ঝরে

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

মোঃ রাশেদুর রহমান রাসেল

১৫ মে ২০২৫, জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এম এ গফুর মেমোরিয়াল স্কুলের সামনে ঘটে যায় একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রথম শ্রেণির ছাত্র, ছোট্ট মোঃ আতিউর রহমান (আবিদ) একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করে। একটি নিষ্পাপ শিশুর এমন নির্মম মৃত্যু শুধু শোকের বিষয় নয়, এটি আমাদের ভাবিয়ে তোলে—এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কীভাবে রোধ করা যায়?

আমরা কাউকে দোষ দিতে চাই না। এ মুহূর্তে জরুরি হলো প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। স্কুলটি মহাসড়ক ঘেঁষে, যেখানে প্রতিনিয়ত দ্রুতগতির ভারী যানবাহন চলাচল করে। এমন অবস্থানে একটি স্কুল থাকলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি নিরাপত্তা দরকার। এখন প্রশ্ন হলো—আমরা কী করতে পারি যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো আবিদের প্রাণ ঝরে না যায়?

প্রথমত, সেখানে একটি স্পিড ব্রেকার স্থাপন জরুরি। এটি যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে এবং চালকদের সতর্ক করে তুলবে। দ্বিতীয়ত, যদি সম্ভব হয় তবে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ শিশুদের নিরাপদ পারাপারে বড় সহায়ক হতে পারে।

যদি অবকাঠামোগত উন্নয়ন সময়সাপেক্ষ হয়, তবে অন্তত স্কুল শুরুর এবং ছুটির সময়ে রাস্তার দুপাশে সিকিউরিটি গার্ড অথবা স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদভাবে রাস্তা পার করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব।

এ রকম মহাসড়ক ঘেঁষা প্রতিটি স্কুলের ক্ষেত্রেই একটি সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকা উচিত। শুধু রাস্তার পাশে নয়, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের যাতায়াত পথ যেন নিরাপদ হয়—এই সচেতনতা এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে আমাদের সবার।

একটি শিশুর প্রাণ চলে যাওয়ার পর চোখ খুলে বসে থাকা নয়, বরং এখন থেকেই পদক্ষেপ নেওয়াই প্রকৃত মানবতা। আমরা চাই, আর কোনো পরিবারকে যেন এমন শোক বয়ে বেড়াতে না হয়।

সবাই মিলে চাইলে একটি নিরাপদ পথ তৈরি করা অসম্ভব নয়। এখনই সময়—চেষ্টা শুরু করার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)