জামালপুরে ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সার আগ্রাসন: অনিয়ন্ত্রিত ড্রাইভিং ও নাগরিক নিরাপত্তার সংকট

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0

মুর্শেদ ইকবাল রীমু
পরিচালক, কর্মসূচি, উন্নয়ন সংঘ

ভূমিকা

জামালপুর শহর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর, যা প্রাকৃতিক সম্পদ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য পরিচিত। এ শহরের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের চলাচলের  প্রয়োজন। এই চাহিদা পূরণে ব্যাটারিচালিত অটো একটি সহজলভ্য, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বাহন হিসেবে সাধারণ মানুষের জীবনে গুরুত্ব অর্জন করেছে।


প্রথমদিকে এসব বাহন ছিল ভোগ্যপণ্যের মতো জনপ্রিয় এবং বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার ঘাটতি পূরণে সহায়ক। বিশেষ করে শহরতলী থেকে মূল শহরের মধ্যে চলাচলে এসব অটো ব্যাপক সহায়তা দিয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই যানবাহনের সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকে। প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অভাব, যথাযথ আইন প্রয়োগের দুর্বলতা এবং নীতিগত দিকনির্দেশনার অভাবের কারণে ব্যাটারিচালিত অটো আজ শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নৈরাজ্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।

এই অটোর চালকরা প্রায়শই প্রশিক্ষণহীন, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা অবহেলাপূর্ণ ড্রাইভিংয়ে অভ্যস্থ। নিয়ম লঙ্ঘন, যত্রতত্র যাত্রী তোলা-নামানো, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বিপজ্জনক ওভারটেকিং এবং রাস্তার প্রতিটি মোড়ে যানজট এখন নিত্যকার চিত্র। ফলাফলস্বরূপ দুর্ঘটনা, সময় অপচয়, জনভোগান্তি ও নাগরিক জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।


জামালপুর শহর, একসময়ের শান্তিপূর্ণ ও ছন্দময় জনপদ, আজ ব্যাটারিচালিত অটোর অতিমাত্রায় বিস্তার এবং অনিয়ন্ত্রিত সড়কচিত্রের কারণে এক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। নগরবাসীর জীবনযাত্রায় গতির ছোঁয়া আনতে যে যানটি একসময় ছিল স্বস্তির প্রতীক, আজ সেটিই হয়ে উঠেছে ভোগান্তির কারণ। জামালপুর শহরে ব্যাটারিচালিত অটোর অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার, এর নেতিবাচক প্রভাব এবং তা থেকে উত্তরণের বাস্তবসম্মত করণীয়গুলো বিশ্লেষণ করার প্রয়াসে আজকের এই প্রচেষ্টা


সমস্যার উৎস সমূহ

১. নিয়ন্ত্রনণহীন গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি

বর্তমানে জামালপুর শহরের রাস্তায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ব্যাটারিচালিত অটো দেখা যাচ্ছে, যাদের অনেকেরই কোনো লাইসেন্স বা নথিভুক্তি নেই। এরা বেশিরভাগই নিম্নআয়ের মানুষ। অটোচালনা এইসকল সাধারণ মানুষের আয়ের উৎস হিসেবে যুক্ত হলেও, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালার অভাবে এটি এখন শৃঙ্খলার বাইরে চলে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন বা পৌর কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট ও প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় এই যানবাহনগুলোর সংখ্যা অসংখ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তাগুলোর পরিকাঠামো সেই অনুপাতে সম্প্রসারিত না হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার ওপর অপূরণীয় চাপ।


২. অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া ড্রাইভিং

বেশিরভাগ ব্যাটারিচালিত অটোর চালকই কম বয়সী, অনভিজ্ঞ এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণহীন। তাদের মাঝে ট্রাফিক সাইন বোঝার চর্চা বা আইন মেনে চলার অভ্যাসও নেই। অনেক সময় চালকরা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বা কানে হেড ফোনে গান শুনতে শুনতে চালাচ্ছেন যা মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বহন করে। কেউ কেউ আবার মাত্রাতিরিক্ত গতিতে চালিয়ে রাস্তার মোড় বা স্কুলের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন যার ফলে প্রায়ই ঘটে যাচ্ছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।


৩. যত্রতত্র যাত্রী উঠানো-নামানোর প্রবণতা

জামালপুর শহরের রাস্তায় কোনো নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড বা পিকআপ পয়েন্ট নির্ধারিত না থাকায় অটোচালকরা নিজের সুবিধামতো মাঝপথে যাত্রী ওঠানামা করান। ফলে প্রতি দশ-পনেরো গজ পরপর থেমে যায় এবং যানবাহনের গতি বাধাগ্রস্থ হয়। এতে শুধু যানজটই তৈরি হয় না বরং অনাকাংখিত সংঘর্ষ ও পথচারীর জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতিও তৈরি হয়। বিশেষ করে স্কুল, হাসপাতাল ও বাজার এলাকায় এই প্রবণতা আরও জটিল পরিস্থিতির জন্ম দেয়।


৪. আইন প্রয়োগের দুর্বলতা

যথাযথ ট্রাফিক আইন থাকলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ অনেকটাই অব্যবস্থাপনার শিকার। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা যেমনি প্রয়োজনের তুলনায় কম, তেমনি তাদের মধ্যে সচেতনতা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার অভাব দেখা যায়। অনেক সময় অটোর মালিক বা চালকদের পেছনে থাকে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া, যার ফলে অভিযান চালানো গেলেও তা দীর্ঘস্থায়ী কোনো ফল দেয় না। ফলাফলস্বরূপ অনেকে নিয়মিত আইন লঙ্ঘন করেও কেউ শাস্তি পাচ্ছে না, যা অন্যদের মধ্যেও নিয়ম না মানার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।


পরিণতি

১. নিত্যদিনের যানজট: নাগরিক জীবনের ছন্দহীনতা

জামালপুর শহরের প্রধান সড়কগুলোতে এখন প্রতিদিনই যানজট যেন নিয়মিত এক দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে দীর্ঘ সময় ধরে স্থবিরতা বিরাজ করে। অফিসগামী, শিক্ষার্থী কিংবা রোগী—সবার চলাচল থমকে যায় এই যানজটে। ফলাফল? দেরিতে পৌঁছানো, কর্মঘণ্টার অপচয় এবং সার্বিক উৎপাদনশীলতায় বিরূপ প্রভাব।


২. সময় অপচয়, পরিবেশ দূষণ ও মানসিক চাপ

যানজটে আটকে থেকে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ নষ্ট করছে অগণিত কর্মঘণ্টা। অনেকে প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছাতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে। অন্যদিকে থেমে থেমে চলা যানবাহনের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ এবং ধুলাবালির আধিক্য। যদিও ব্যাটারিচালিত অটো নিজে থেকে কার্বন নির্গমন করে না তবে অতিরিক্ত সংখ্যার কারণে রাস্তায় তৈরি জটলা অন্য যানবাহনের ইঞ্জিন নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও দিনের পর দিন অসহনীয় জ্যাম ও বিশৃঙ্খলা নাগরিকদের মনে হতাশা, ক্রোধ ও মানসিক ক্লান্তি তৈরি করছে যা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, শারীরিক স্বাস্থ্য ও সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।


৩. দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও স্থায়ী শারীরিক ক্ষতি

নিয়ন্ত্রণহীন যান চলাচল ও ড্রাইভারদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে শিশু, বৃদ্ধ ও পথচারীরা, যাদের সতর্কতা ও প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। অনেক সময় দেখা যায়, অটো উল্টে যাওয়া, হঠাৎ ব্রেক ফেইল, কিংবা বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা গাড়ির সঙ্গে সংঘষর্  এইসব দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, কেউ কেউ চিরজীবনের মতো শারীরিকভাবে পংগু হয়ে পড়ছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জীবনে নেমে আসছে চরম দুঃখ ও আর্থিক অনিশ্চয়তা।


সমাধানের পথ হতে পারে: 

 ১. রেজিষ্ট্র্রেশন ও প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা

ব্যাটারিচালিত অটোর অগোছালো ও অনিয়ন্ত্রিত চলাচল বন্ধ করতে হলে এগুলোর বৈধ রেজিষ্ট্র্রেশন ও ফিটনেস যাচাই বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই প্রতিটি অটোর জন্য নির্দিষ্ট রেজিষ্ট্র্রেশন নম্বর ও লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে চালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, ট্রাফিক আইন ও ন্যূনতম সামাজিক আচরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া আবশ্যক। যারা প্রশিক্ষণ না নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন বা অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের জন্য সহনশীল আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এর ফলে দুর্ঘটনার হার হ্রাস পাবে এবং রাস্তায় শৃঙ্খলা আসবে।


২. সুনির্দিষ্ট স্টপেজ নির্ধারণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি

যাত্রী ওঠানো-নামানোর অনিয়ম বন্ধ করতে জামালপুর শহরের প্রধান রাস্তাগুলোর মোড়ে, গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট ও হাসপাতাল এলাকায় নির্দিষ্ট অটো স্ট্যান্ড বা পিকআপ পয়েন্ট স্থাপন করতে হবে। এই স্টপেজগুলোর অবস্থান দৃশ্যমানভাবে চিহ্নিত করতে হবে এবং চালকদের সেখানে যাত্রী তোলার নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া চালক ও যাত্রীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ট্রাফিক বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কর্মশালা, লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা চালাতে হবে।


৩. আইন প্রয়োগে কঠোরতা ও প্রযুক্তির ব্যবহার

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি ছাড়া কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। তাই শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, ডিজিটাল ট্রাফিক সিগনাল এবং স্বয়ংক্রিয় নম্বও প্লেট শনাক্তকারী (অঘচজ) প্রযুক্তি স্থাপন করতে হবে। নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা রেকর্ড করে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট অথবা জরিমানা কার্যকর করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে আরও ক্ষমতাবান ও দক্ষ করে তুলতে হবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্তভাবে দায়িত্ব পালনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে নিয়মভঙ্গের প্রবণতা কমবে এবং চালকেরা আরও দায়িত্বশীল হবেন।


৪. সামাজিক সচেতনতা এবং স্থানীয় অংশগ্রহণ

শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, জনসম্পৃৃক্ততা ও সামাজিক অংশগ্রহণই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আনতে পারে। স্থানীয় গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাফিক নিরাপত্তা নিয়ে নিয়মিত প্রচারণা চালানো যেতে পারে। স্কুল, কলেজ ও মসজিদভিত্তিক সচেতনতামূলক আলোচনা, রোড শো ও কমিউনিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে তরুণদের বিশেষভাবে যুক্ত করা যেতে পারে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজকে ট্রাফিক নীতি বাস্তবায়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তুললে মানুষের মনোভাবেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে


ইতিকথা

ব্যাটারিচালিত অটো জামালপুর শহরের নাগরিক জীবনে এক সময় ছিল স্বস্তির প্রতীক— । সহজলভ্য ভাড়া, দ্রুত চলাচল ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির এক চমৎকার বিকল্প। এটি বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য এক নির্ভরযোগ্য বাহন হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ও সচেতনতার ঘাটতিতে সেই সম্ভাবনাময় ব্যবস্থাটিই আজ পরিণত হয়েছে শৃঙ্খলার অভাব, দুর্ঘটনা ও জনভোগান্তির এক করুণ চিত্রে। চালকদের অপ্রশিক্ষিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা, যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা এইসব মিলিয়ে বর্তমানে নাগরিক জীবনের স্বাভাবিক গতিবিধি ব্যাহত হচ্ছে। ছোট্ট একটি শহরের শ্বাসরুদ্ধকর সড়ক পরিস্থিতি এই সমস্যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক গভীরতা প্রতিফলিত করছে।


অতএব, এখনই সময় প্রয়োজনীয় নীতিগত হস্তক্ষেপ, প্রযুক্তি নির্ভর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং নাগরিক অংশগ্রহণের সমন্বয়ে একটি সমাধানমুখী পদক্ষেপ নেওয়ার। প্রয়োজন শহরের প্রেক্ষাপটে নির্ভরযোগ্য গণপরিবহন নীতিমালা প্রণয়ন, রেজিষ্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের বাধ্যবাধকতা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি। পাশাপাশি নাগরিকদের মনোভাব ও আচরণে পরিবর্তন আনার জন্য গণসচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করাও অতীব জরুরি।


শুধু প্রশাসনিক শক্তিই নয়, এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য চাই সমন্বিত চেতনা ও সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ। তাহলেই সম্ভব হবে ব্যাটারিচালিত অটোকে বাস্তবিক অর্থে “জনবান্ধব” হিসেবে পুনঃস্থাপন করা এবং একটি নিরাপদ, সুশৃংখল জামালপুর গড়ে তোলা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)