আধুনিক সমাজে পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব: আমাদের দায় ও করনীয়

দৈনিক সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন
0
মুর্শেদ ইকবাল রীমু
পরিচালক, কর্মসূচি, উন্নয়ন সংঘ

মানুষ জন্মের পর থেকেই এক অনন্ত শিক্ষাযাত্রায় অংশ নেয়। এই যাত্রার প্রথম ধাপ শুরু হয় পরিবারের কোলে, যেখানে শিশুর মানসিক গঠন, চারিত্রিক বীজবপন এবং সামাজিক আচরণের প্রথম পাঠ শুরু হয়। একজন শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনের ভিত্তি হয় পরিবারের নৈতিক শিক্ষা এবং মানসিক পরিবেশে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার জ্ঞানচর্চা, শৃঙ্খলা, সামাজিকতা এবং নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলে কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে।

 

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির বিপ্লব যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে, তেমনি এক প্রকার বিচ্ছিন্নতাও সৃষ্টি করেছে পারিবারিক সামাজিক সম্পর্কের মাঝে। সত্যবাদিতা, দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধা দেশপ্রেমের মতো গুণাবলি আজ অনেক শিশুর কাছেই অচেনা। সামাজিক প্রতিযোগিতা, ভোগবিলাসী সংস্কৃতি নেতিবাচক মিডিয়ার প্রভাবে শিশুরা হারাচ্ছে মানবিক বোধ।শিশুরা আজকাল বাস্তব যোগাযোগের চেয়ে ভার্চুয়াল জগতে বেশি সময় কাটায়, যা তাদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই জটিল প্রেক্ষাপটে পরিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হতে হবে শিশুদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ নৈতিক আশ্রয়। একটু আলোচনা করা যাক কিভাবে পারিবারিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা একে অপরকে পরিপূরক করে একটি মানবিক, সৃজনশীল এবং নৈতিক সমাজ গঠনে সহায়তা করতে পারে। নিম্নোক্ত বিষয়েগুলি অোমাদের চিন্তার খোরাককে আরো প্রশমিত করতে পারে:

 

. পারিবারিক শিক্ষার আদর্শ এবং সেখান থেকে পাওয়া মূল্যবোধের শিক্ষা

আমাদের সমাজে পারিবারিক শিক্ষা ছিল এক গভীর মানবিক চর্চার প্রতিফলন। তখনকার পরিবারগুলো মূলত যৌথ পরিবারে আবদ্ধ থাকায় শিশুরা নানা প্রজন্মের কাছ থেকে জীবনের নানামুখী শিক্ষা পেত। দাদা-দাদী, নানা-নানীর মুখে গল্প শুনে তারা শেখে সততা, সহানুভূতি, আত্মত্যাগ দেশপ্রেমের পাঠ। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, পারিবারিক নিয়ম-কানুন এবং সামাজিক উৎসব ছিল সেই শিক্ষার স্বাভাবিক বাহক। শিশুরা বড়দের সঙ্গে বসে খেত, শিখত শ্রদ্ধা, নম্রতা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ। কোনো পাঠ্যবই ছাড়াই পরিবারের পরিবেশই ছিল চরিত্র গঠনের শ্রেষ্ঠ পাঠশালা। সেই সময়ের পারিবারিক বন্ধন মূল্যবোধের চর্চা আজকের সমাজেও যদি ধরে রাখা যেত, তবে নৈতিক অবক্ষয় অনেকাংশেই রোধ করা সম্ভব হতো।


. বর্তমান পরিবারে প্রযুক্তি ব্যস্ত জীবনের প্রভাব

বর্তমান পারিবারিক জীবনে প্রযুক্তির ব্যাপকতা এবং ব্যস্ত সময়সূচি একদিকে যেমন আধুনিকতার প্রতীক, অন্যদিকে তেমনি শিশুদের মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আজকের অভিভাবকরা কর্মজীবন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং দৈনন্দিন চাপের কারণে পরিবারে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গেও কম সময় কাটান, একসাথে খাওয়াদাওয়া কিংবা গল্প করার সুযোগও কমে গেছে। এমনকি অনেক সময় শিশুর কান্না বা জিজ্ঞাসার উত্তরে অভিভাবকরা মোবাইল ফোন বা ট্যাব দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতে চান। এতে শিশুরা ছোট বয়স থেকেই প্রযুক্তির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং বাস্তব জীবন দক্ষতা, সামাজিকতা আবেগীয় সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলে। এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র প্রযুক্তির সমস্যা নয়, বরং আমাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণে একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বর্তমান কাঠামো এবং সৃজনশীলতা নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি

আজকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুরা মূলত পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানে সীমাবদ্ধ। পরীক্ষার ফলাফল-নির্ভর এই ব্যবস্থায় নৈতিকতা, সংস্কৃতি মানবিক চর্চার জায়গা দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষক এখন কেবল ক্লাস শেষ করাকেই দায়িত্ব বলে মনে করেন, যেখানে পাঠদানের পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীর মানসিক এবং নৈতিক বিকাশের প্রয়োজনীয় দিকগুলো অনেকাংশেই উপেক্ষিত হয়। যদিও এখনও কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষক এই গুণগুলোকে মূল্য দেন, কিন্তু সংখ্যাটি আশাব্যঞ্জক নয়। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অনেকাংশেই পরীক্ষামুখী ফলাফলনির্ভর একটি কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পাঠ্যক্রম কেন্দ্রিক এই শিক্ষায় মূলত গ্রেড, সনদ প্রতিযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যেখানে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা, স্বাধীন চিন্তাশক্তি এবং বাস্তবজ্ঞান চর্চার সুযোগ খুবই কম। বহু শিক্ষক সময়স্বল্পতা বা প্রতিষ্ঠানের চাপের কারণে পাঠ্যবইয়ের বাইরে গিয়ে নৈতিকতা, সহমর্মিতা কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দেন না। ফলে শিশুরা শুধুমাত্র তথ্য মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো করলেও জীবনের বাস্তব সংকট মোকাবিলায় দুর্বল হয়ে পড়ে। এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ নয় বরং একজন ভালো পরীক্ষার্থী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন না ঘটলে শিক্ষা কখনোই সমাজের নৈতিক ভিত্তি গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না


. শিশুদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য, একাকীত্ব এবং অনলাইন আসক্তির ঝুঁকি

বর্তমান সমাজে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য একটি গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। পারিবারিক সময়ের অভাব, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতার কারণে অনেক শিশু মানসিকভাবে একাকী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। তারা যখন পরিবারের সঙ্গে মিশতে না পেরে বা প্রকৃত বন্ধু খুঁজে না পায়, তখন ভার্চুয়াল জগতে আশ্রয় খোঁজেযেখানে তারা বিভিন্ন গেম, ভিডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ে। এই অনলাইন আসক্তি কেবল সময় নষ্ট করে না; বরং শিশুর মনোযোগ শক্তি কমিয়ে দেয়, উদ্বেগ হতাশা সৃষ্টি করে এবং কখনো কখনো আত্মপ্রত্যয় বা আত্মসম্মানবোধেও আঘাত হানে। তারা হয়ে ওঠে আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, দ্রুত মেজাজ হারায় এবং বাস্তব জীবন থেকে দূরে সরে যায়। তাই অভিভাবক শিক্ষকদের সচেতনভাবে শিশুদের সঙ্গে মানসিক যোগাযোগ স্থাপন, খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি এবং ভার্চুয়াল জগতের বাইরে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন

. অভিভাবক শিক্ষকদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব

একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব ভবিষ্যৎ গঠনে অভিভাবক শিক্ষকের সম্মিলিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকরা শিশুর জীবনের প্রথম দিকনির্দেশকতাদের আচরণ, ভাষা মানসিকতা শিশুদের অবচেতন মনেও গেঁথে যায়। তাই শিশুর নৈতিকতা, দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যবোধ গঠনে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, শিক্ষকেরা শুধু পাঠদাতা নন, বরং তারা হচ্ছেন আদর্শ, প্রেরণা নৈতিকতার প্রতীক। একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক শিক্ষার্থীর চিন্তার বিকাশ, মানবিক অনুভব এবং জীবনের প্রস্তুতিতে সহায়ক হন। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সময় দেওয়া, মনোযোগ দেওয়া ব্যক্তিত্বের বিকাশে সহায়ক হওয়া; আর শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের শুধু তথ্য দেওয়া নয়, বরং নৈতিক সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা। পরিবার বিদ্যালয় যদি একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে, তবে শিশুর জীবন গড়ে উঠবে ভারসাম্যপূর্ণ অর্থবহ এক ভিত্তির উপর


. প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার এবং সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা

প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও এর অন্ধ ব্যবহার সমাজ ব্যক্তিজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। তাই প্রযুক্তিকে শুধুমাত্র বিনোদন বা সময় পার করার মাধ্যম না বানিয়ে, বরং শেখা, গবেষণা সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করাটা জরুরি। অভিভাবক শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো শিশুদের প্রযুক্তির যথাযথ দায়িত্বশীল ব্যবহারে দীক্ষিত করাযেমন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার, শিক্ষা-সহায়ক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার, অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা ইত্যাদি শেখানো। একইসাথে, সামাজিক মূল্যবোধযেমন শ্রদ্ধাবোধ, সহানুভূতি, সহনশীলতা দেশপ্রেমের মতো গুণাবলির চর্চা করতে হবে বাস্তব জীবনের ছোট ছোট অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। যখন প্রযুক্তির সঙ্গে মানসিক সংযোগ, মানবিকতা মূল্যবোধের চর্চা মিলিত হয়, তখনই তৈরি হয় ভারসাম্যপূর্ণ সচেতন এক নতুন প্রজন্ম।


. সমন্বিত শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের কৌশল

শিশুর সর্বাঙ্গীণ বিকাশ নিশ্চিত করতে হলে পরিবার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় অত্যাবশ্যক। শুধুমাত্র স্কুলে পাঠদান কিংবা পরিবারে আদব-কায়দা শেখানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, উভয় ক্ষেত্রকে একটি পরিপূরক কাঠামোর ভেতর আনতে হবে। পরিবারে যদি শিশুকে নৈতিকতা, শিষ্টাচার, দায়িত্ববোধ মানবিকতা শেখানো হয়, আর প্রতিষ্ঠান সেই শিক্ষাকে সুসংহতভাবে সম্প্রসারিত করে, তবে শিশুর মনের ভিত গড়ে উঠবে দৃঢ় ভারসাম্যপূর্ণভাবে। এই লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিভাবকদের অংশগ্রহণ বাড়ানো, শিক্ষক-অভিভাবক সংলাপের সুযোগ তৈরি, এবং পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষা জীবন-দক্ষতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা গড়ে তোলার জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিক্ষা, যেমনস্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কিংবা সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। এভাবে পরিবার প্রতিষ্ঠানের যুগপৎ প্রচেষ্টায় গড়ে উঠতে পারে এমন একটি প্রজন্ম, যারা কেবল মেধাবী নয়, বরং সচেতন, সহানুভূতিশীল এবং মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সক্ষম।

 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের করণীয়

. পরিবারকে শিক্ষার প্রথম পাঠশালায় রূপ দেওয়া
অভিভাবকদের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় না দিয়ে সন্তানদের সঙ্গে গঠনমূলক সময় কাটানো। তাদের আচরণ, ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শিশুর সামনে একটি নৈতিক আদর্শ স্থাপন করা।

. প্রতিষ্ঠানকে মানবিক শিক্ষার ক্ষেত্র বানানো
শিক্ষকরা শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, বরং জীবনের বাস্তবতা ও মূল্যবোধ শেখাতে ভূমিকা রাখতে পারেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি অংশ নৈতিক শিক্ষার জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত।

. প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার শিক্ষা দেওয়া
প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিক জীবন কল্পনা করা যায় না, তবে এর অপব্যবহার থেকে শিশুদের রক্ষা করাও জরুরি। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার শেখাতে হবে পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে।

. যৌথ উদ্যোগে সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা
অভিভাবক, শিক্ষক ও সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা একসাথে কাজ করলে শিশুরা পায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ, সহানুভূতিশীল পরিবেশ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে তাদের আত্মবিশ্বাস ও নৈতিকতার বিকাশে সহায়তা করার জন্য।

 

আমাদের  জন্য  আহ্বান

প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে যেমন সহজ করে তুলেছে, তেমনি সমাজে এক ধরনের যান্ত্রিকতা এবং মানবিক বন্ধনের দুর্বলতাও এনেছে। শুধু প্রযুক্তিগত অগ্রগতির উপর ভর করে যদি আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়তে চাই, তবে তা হবে এক গন্তব্যহীন যাত্রা, যেখানে থাকবে না মমতা, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ কিংবা নৈতিক দৃঢ়তা। আজকের শিশুদের যদি আমরা ছোট বয়স থেকেই আত্মসম্মান, সততা, শ্রদ্ধাবোধ, সমাজ সচেতনতা সহনশীলতার মতো গুণাবলি শেখাতে পারি, তবে তারা একদিন সমাজের চালকশক্তি হিসেবে শুধু জ্ঞাননির্ভরই নয়, এক মানবিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারবে।

 

এই কাজে কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা যথেষ্ট নয়আমাদের প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস, পারিবারিক যত্ন, শিক্ষকতার আদর্শ সামাজিক সহানুভূতির সমন্বয়। শিশুর বিকাশ যেন শুধু শিক্ষাবর্ষের অন্তেই না সীমাবদ্ধ থাকে বরং জীবনের পরিপূর্ণ মানে বুঝিয়ে দেয়এই চেষ্টাই হোক আমাদের প্রধান লক্ষ্য। জ্ঞান নয়, মানুষ হওয়ার শিক্ষা হোক অংগীকার এই বোধকে মাথায় নিয়ে আসুন, আমরা একসাথে নতুন প্রজন্মের জন্য কাজ করি এবং ছড়িয়ে দেই শ্লোগান ”শুধু তথ্য নয়, মানবিক চেতনার আলো জ্বালাইযাতে তারা শুধু শিক্ষিত নয়, একজন সচেতন, মূল্যবোধসম্পন্ন এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে”।

 

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সরকারি মিডিয়া (ডিএফপি) তালিকাভুক্ত জামালপুরের প্রচারশীর্ষ দৈনিক-সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন অনলাইন ভার্সন । আপনার মতামত প্রকাশ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)